সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ০৭:৪১ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
কুয়াকাটায় পর্যটক হেনেস্তাকারী যুবদল সভাপতি বহিষ্কার টুরিষ্ট ভিসায় জেল খেটে বিদেশ ফেরত মকছুদ।কলাপাড়ায় দুই  প্রতারকের বিরুদ্ধে মামলা কলাপাড়া বিএনপির সাবেক সভাপতি’র দলবদল কলাপাড়ায় খাল থেকে অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির চরশিবা সাংগঠনিক ইউনিয়ন শাখার উদ্দ্যোগে  মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত স্প্রেইড হিউম্যানিটির উপদেষ্টা পরিষদ গঠন ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বাউফলে নিখোঁজের ৫দিন পর লাশ উদ্ধার শ্রমিকদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন রাষ্ট্র হচ্ছে দেবী দুর্গার দশ হাতের মতো-ব্যারিস্টার ফুয়াদ বরিশাল গোরস্থান রোডের রাস্তা ও ড্রেনের সংস্করণের দাবিতে মানববন্ধন বাউফলে ‘খেলাফত মজলিস’ উপজেলা শাখার কমিটি গঠন কলাপাড়ায় মাহেন্দ্র-মোটর সাইকেলে মুখোমুখি সংঘর্ষে শিক্ষকের মৃত্যু শেখ হাসিনার গুলিতে শুধু ছাত্র নয়, শুধু জনতা নয়, শ্রমিকদেরও রক্ত গেছে আল কারীম কওমী মাদরাসার নতুন ভবনের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন মেহেন্দিগঞ্জে মহান মে দিবস উপলক্ষে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উদ্যোগে শ্রমিক সমাবেশ ও বর্নাঢ্য র‌্যালি অনুষ্ঠিত
বরিশালে ৫১ ভূয়া নামে বিজিডি চাল আত্মসাতের অভিযোগ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

বরিশালে ৫১ ভূয়া নামে বিজিডি চাল আত্মসাতের অভিযোগ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

Sharing is caring!

বরিশালের হিজলা উপজেলার মেমানিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের বিরুদ্ধে বিজিডি’র চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘ দিন ধরে তারা ৫১ জন ব্যক্তির ভুয়া নাম ব্যবহার করে বিপুল পরিমান সরকারি চাল আত্মসাত করেছেন তারা।

এই ঘটনায় বিজিডি কার্ড নিয়ে প্রতারনার শিকার নারীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। গত ২১ এপ্রিল তাছলিমা বেগম ও মাজেদা বেগম নামের দুই নারীর স্বাক্ষরিত ওই অভিযোগ পত্রের অনুলিপি দেয়া হয়েছে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও হিজলা উপজেলা পরিষদ। তবে এ ধরনের কোন অভিযোগ পাননি বলে দাবি করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমীনুল ইসলাম। এমনকি বিজিডি’র চাল আত্মসাতের অভিযোগ সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন মেমানিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিন।

বিজিডি বঞ্চিতরা জানিয়েছেন, ‘বরিশালের হিজলা উপজেলার মেমানিয়া ইউনিয়ন পরিষদে ৬০৩টি বিজিডি কার্ড রয়েছে। যাদের মহিলা অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রতি কার্ডের অনুকুলে দুই বছর প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে সরকারি চাল প্রদান করা হচ্ছে। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদের প্রত্যেক কার্ডধারী নিয়মিত বিজিডি’র চাল পাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন বঞ্ছিতরা। এসব বিজিডি বঞ্চিতদের অভিযোগে, কার্ডে তাদের নাম থাকলেও তা অন্য কোন ব্যক্তির নামে উত্তোলন করে নেয়া হচ্ছে। এমন তালিকায় ৫১ জনের নাম খুঁজে পেয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। যাদের মধ্যে পাঁচনের নাম এবং বিজিডি কার্ডের নম্বর উল্লেখ করা হয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর লেখা অভিযোগ পত্রে। অভিযোগকারী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চর দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা ওই দুই নারী উল্লেখ করেছেন, বিজিডি কার্ড দেয়ার কথা বলে ওই ওয়ার্ডের মেম্বার ওহাব আলী গোলদার তাদের কাছ থেকে ছবি ও আইডি কার্ড ও তিন হাজার টাকা করে আদায় করেন ওই ইউপি সদস্য। কিন্তু দীর্ঘ দিন হয়ে গেলেও তারা চাল বা কার্ড পাচ্ছিলেন না।

অভিযোগকারীরা বলেন, ‘পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তাদের নামে চাল আসলেও তা পাচ্ছেন না। তাদের ৫৬৬, ৫৯৮, ১৩৩, ৫৭৪ নম্বর কার্ডসহ ৫১টি কার্ডের বিপরিতে প্রতিমাসে বরাদ্দকৃত ১৫৩০ কেজি চাল বিভিন্ন ভুয়া নামে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। এদিকে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, বিষয়টি জানাজানি হলে এ নিয়ে সমালচনার সৃষ্টি হয়। এমন পরিস্থিতিতে মেমানিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন বিষয়টি সমাধানের জন্য মেম্বারদের নিয়ে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেন। গত বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে বৈঠকের কথা থাকলেও রহস্যজনক কারণে সেটা হয়নি। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, বিজিডি’র যে ৫১টি কার্ড নিয়ে অভিযোগ উঠেছে সেগুলো প্যানেল চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর, ওহাব আলী, মেম্বার লতিফ মৃধার ওয়ার্ডের। তবে বঞ্ছিতদের দাবি শুধুমাত্র ওই মেম্বারদের ওয়ার্ডেই নয়, বরং বিজিডি কার্ড নিয়ে তদন্ত করা হলে ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডেই মেম্বারদের দুর্নীতির চিত্র ফুটে উঠবে। সেই সাথে চেয়ারম্যানের সম্পৃক্ততাও বেরিয়ে আসবে বলে অভিমত সংশ্লিষ্টদের।

এ প্রসঙ্গে আলাপকালে মেমানিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিন বলেন, আমাদের এখানে বিজিডি’র কার্ড নিয়ে কোন ঝামেলা নেই। আর মেম্বারদের বিরুদ্ধে চাল আত্মসাতের কোন অভিযোগও আসেনি দাবি করে চেয়ারম্যান বলেন, ‘ইতিপূর্বে ৫১টি কার্ড নিয়ে একটু ঝামেলা হয়েছিল। ওই ৫১টি কার্ড ডাবল হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে যাচাই বাছাই করে সেটা সমাধান করা হয়েছে। তিনি বলেন, বিজিডি দুই বছরের জন্য তালিকা হয়। চলতি তালিকার মেয়াদ শেষ পর্যায়। তাছাড়া বিজিডি’র কার্ড নিয়ে দুই দফা বৈঠকের আয়োজন করে না হওয়ার বিষয়টিও অস্বীকার করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, এ ধরনের তথ্য সঠিক নয়।

এব্যাপারে হিজলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমীনুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে এ ধরনের একটি অভিযোগ এসেছে। তবে তাও বিজিডি’র নয়, সেটি ছিল জেলেদের চাল আত্মসাত বা পরিমানে কম দেয়া। ওই অভিযোগটি এরই মধ্যে মৎস্য কর্মকর্তাকে তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, মেমানিয়া ইউনিয়নে বিজিডি’র চাল আত্মসাত বা অনিয়মের কোন অভিযোগ আমি পাইনি। এ ধরনের কোন অভিযোগ থাকলে সে বিষয়ে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। দেশের চলমান সংকটে চাল আত্মসাতের সাথে জড়িতদের কোন ভাবেই ছাড় দেয়া হবে না বলে জানান তিনি। তাই অভিযোগ থাকলে সরাসরি তা উপজেলা প্রশাসনকে জানানোর জন্য বলেছেন তিনি।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD